সিরাজদিখান প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলামের সততা ও বিচক্ষণতায় একটি ভুয়া মামলার পরোয়ানা থেকে মুক্তি পেলেন নুরুজ্জামান নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ নিরপরাধ ব্যাক্তি।
গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম’র কক্ষ থেকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া হয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সিরাজদিখান উপজেলা শাখার অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী নুরুজ্জামান মোল্লাকে।
জানাযায়, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লা সর্বশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সিরাজদিখান উপজেলা শাখার অফিস সহকারী পদ থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অবসরে যান।
সম্প্রতি তার বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় সে গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে থানায় আসলে তার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে এক অফিসার তাকে আটক করে।
পরবর্তীতে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল কোতোয়ালি থানা থেকে আসা ওয়ারেন্টি সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং তার বিরুদ্ধে করা ওয়ারেন্টি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া তাকে সসম্মানে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ওসি মুজাহিদুল ইসলাম প্রমাণ করে দিলেন যে পুলিশ জনগণের বন্ধু।
জমি সংক্রান্ত বিরোধে একটি বিষয় নিয়ে আজ সকালে থানায় যাই, থানায় যাওয়ার পর জানতে পারি বরিশাল কোতোয়ালি থানা থেকে নাকি আমার নামে একটি ওয়ারেন্ট এসেছে যার কারনে একজন অফিসার আমাকে আটক করে। পরবর্তীতে ওসি সাহেব কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি মন থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন ওসি সাহেবকে দীর্ঘায়ু করেন এবং এই কামনা করি বাংলাদেশের সকল থানায় যেন ওসি মুজাহিদুল ইসলামের মত সৎ পুলিশ অফিসার কে নিয়োগ দেয়া হয়।
আর এবছর আমি হজ্বে যাব ইনশাল্লাহ, হজ্বে গিয়ে আমি তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করব।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লোকটির বয়স ও পরিচয় দেখে আমার মনে হয়েছিল তার বিরুদ্ধে মাদক মামলার ওয়ারেন্টা সঠিক নয়,তাই আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে যাচাই বাছাই করি এবং বরিশাল সদর থানার যোগাযোগ করে যাচাই-বাছাই করে ওয়ারেন্টি সঠিক নয় তাই আমি তাকে সসম্মানে ছেড়ে দিয়ে দিয়েছি।