সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে রাস্তার পাশে সরকারী দুটি গাছ কর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণে গাফেলতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ফরেস্ট অফিসার(বন কর্মকর্তা) মোঃ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে।
যার ফলে নব নির্মিত একটি মসজিদের উদ্বোধন আটকে আছে মর্মে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ মসজিদের মুসল্লীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুম গ্রামস্থ কুসুমপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন গ্রামের মুসল্লীদের ইবাদত বন্দেগী তথা নামাজ আদায়ের জন্য কুসুমপুর চৌরাস্তা জামে মসজিদ নামে সম্প্রতি একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছ। স্থানীয় মুসল্লীদের জন্য মসজিদটির উদ্বোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিপত্তি বাধে মসজিদের সামনে সরকারী দুটি গাছ নিয়ে। মসজিদ সংশ্লিষ্টরা মসজিদের সামনে থাকা গাছ দুটি কর্তনের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু লিখিত আবেদনের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বন কর্মকর্তা গাছ দুটি কর্তনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি মর্মে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে বন কর্মকর্তার গাফেলতিকেই দায়ী করছেন তারা।
ইছাপরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সদস্য সৈয়দ আহসান কবীর শিশির অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের সামনে গাছ দুটো থাকার কারণে মসজিদটি উদ্বোধন করা যাচ্ছে না। ৫-৬ মাস আগে গাছ দুটো কাটার জন্য উপজেলা ফরেস্ট অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম।কিন্তুু তিনি কোন ব্যবস্থায় নেয়নি। আজ পর্যন্ত গাছ দুটোও কাটার ব্যবস্থা করেনি তারা।
তাই মসজিদের উদ্বোধনও আটকে আছে। এ পর্যন্ত কয়েকবার বলেছে কেটে দিবে কিন্তু এখন কাটেন নি। ধর্মীয় উপাসনালয় অর্থাৎ মসজিদের বিষয়ট গুরুত্ব দিয়ে হলেও যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাছ দুটো কাটার ব্যবস্থা করে দেন। এ ব্যপারে উপজেলা ফরেস্ট অফিসার (বন কর্মকর্তা) মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে অর্ডার না আসলে আমাদের এখানে কিছু করার নাই। আমরা আবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি যখন অর্ডার হয়ে আসবে তখনি কাটা যাবে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কোন গাফেলতি নেই। আমাদের কাছে আবেদন দিয়েছে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি। যদি গাছ কেউ কাটে তাহলে মামলা হবে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে একাধিক সরকারি গাছ আবেদন ছাড়াই কর্তন করা হচ্ছে, কতজনের বিরুদ্ধে মামলা দিতে সক্ষম হয়েছেন জানতে চাইলে কৌশলে তিনি কথা এড়িয়ে যান এবং এক পর্যায়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।