ঋণ গ্রহীতা সেজে ও ভুয়া নাম ব্যবহার করে ওডি ঋণ দেখিয়ে ২৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও অফিসার খান মোহাম্মদ খালেদ রউফ।
মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭টি জাল ওডি ঋণ খুলে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণ দেখিয়ে নিজেরাই ঋণ গ্রহীতা সেজে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের নরসিংদী শাখার ওই দুই কর্মকর্তা ওডি ঋণ হিসাব খুলে ২৮ লাখ ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই আবেদা সুলতানার নামে একজনকে গ্রাহক সাজিয়ে ৩ লাখ একটি ওডি ঋণ হিসাব খুলেন। কিন্তু ঋণ হিসাবের কোনো ঋণ ফাইল শাখায় (যেমন গ্রাহকের আবেদনপত্র, প্রধান কার্যালয়/শাখা ক্রেডিট কমিটির অনুমোদন, এডি হিসাব খোলার ফরম, ছবি এবং চার্জ ডকুমেন্ট ইত্যাদি) পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মোহাম্মদ খালেদ রউফ ও মোস্তাফিজুর ওই ঋণ হিসাব থেকে বিভিন্ন তারিখে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা মোহাম্মদ তানভীরের নামে ভুয়া সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করেন।
অনুরূপভাবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময় মোট ৫টি ওডি জাল ঋণ দেখিয়ে আবেদা সুলতানা, আশা রানী সাহা, বিধী রায়, মি. নারায়ণ চন্দ্র ও আবু হানিফের নামে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওডি লোন কি?
ওভারড্রাফট আসলে এক ধরনের লোন বা ঋণ। ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার বেশি তোলা যায় এই ওভারড্রাফট সুবিধার মাধ্যমে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই অতিরিক্ত টাকার জন্য সুদ দিতে হয় গ্রাহকদের। প্রতিদিনের ভিত্তিতে এই সুদ চার্জ করে থাকে ব্যাংক।