নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্ধু মো. আবুল হোসেন তালুকদারের সাথে প্রতারণা করে কারাগারে আছেন আরেক বন্ধু সাখাওয়াত হোসেন খান ওরফে শওকত হোসেন খান। রাজধানীর মতিঝিল থানায় আবুল হোসেন তালুকদারের করা মামলায় গত ২৮ অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে ছিলেন। এরই মধ্যে ৪ বার জামিন শুনানানি হয়েছে। তিন বারই আদালত জামিন নামঞ্জুর করছে।
তবে, গতকাল রোববার সাখাওয়াত হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। মতিঝিল থানায় যার মামলা নম্বর- ৩৬। ভুক্তভোগী গত ২৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলাটি করেছে। প্রতারক সাখাওয়াত হোসেন খান ফরিদপুর সদর থানার বাবুরচর গ্রামের মো. আমিন হোসেন খানের ছেলে। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সাখাওয়াত হোসেনের প্রতারণায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার লাখ লাখ টাকা সে আত্মসাৎ করে নিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সে কারাগারে থেকেও নানা মাধ্যমে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। আমি এখন তার ভয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এরইমধ্যে সাখাওয়াত হোসেনের জামিন মঞ্জুর করা খুবই দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার জামিন নামুঞ্জুর করে ফের কারাগারে প্রেরণ করার জন্য আদালতের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আবুল হোসেন বলেন, সাখাওয়াত হোসেন ডেমকো গ্রুপে আমাদের লাইসেন্স ব্যবহার করে অনেক বিল আত্মসাৎ করে নিয়েছে। বর্তমানেও অনেক বিল রয়েছে। আমি ডেমকো গ্রুপের কাছে আহ্বান করবো- সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার বিল প্রদান ও কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এই ভুক্তভোগী আরো বলেন, আমি এই প্রতারক সাখাওয়াত হোসেন খানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই এবং আমার পাওনা টাকাগুলো ফেরত চাই। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আবুল হোসেন তালুকদার পার্টনারশীপ ব্যবসায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাখাওয়াতের সাথে ব্যবসা আরম্ভ করে। একপর্যায়ে আবুল হোসেন সাখাওয়াতের কাছে ৩৯ লাখ টাকা পাওনা হয়। সাখাওয়াত আরো লাভের আশা দেখিয়ে আবুল হোসেনকে অন্য একটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে বলে।
আবুল হোসেন তার প্রতারণা বুঝতে না পেরে সেই টাকাও বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়ের জন্য যৌথভাবে একটি লাইসেন্সও করা হয়। যার লাইসেন্স এর রেজিস্ট্রেশন নং-সি ৮২০৩৪। শর্ত থাকে ব্যবসায় যা লভ্যাংশ হবে তা সমহারে বণ্টন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো লভ্যাংশ দেয় না। আবুল হোসেন তার পাওনা টাকা ও লভ্যাংশ চাইলে একপর্যায়ে সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীকে দিয়ে ফোন করিয়ে নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। বলে- বাড়াবাড়ি করলে তোর ট্রান্সপোর্ট সব জ্বালিয়ে দিব। ভয়ে ও আতংকে কাউকে কিছু বলতে পারে না আবুল হোসেন। নিরবে সব সহ্য করে। মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, আবুল হোসেন তালুকদার তার বিনিয়োগ, পাওনা ও লভ্যাংশ বাবদ এক কোটি চৌদ্দ লাখ টাকা পাবে। কিন্তু সাখাওয়াত হোসেন প্রতারণা ও ষড়যন্ত্র করে তার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। আবুল হোসেন তার টাকাগুলো চাইলে সাওখাওয়াত ও তার বাহিনী নানা ধরণের ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে আসছে।