স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার বোরর চর ইউনিয়নে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে মেরে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬/০৯/২০২৪ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে কোতোয়ালি থানার ১নংঅষ্টধার ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের সুরুজ ফকিরের বাড়িতে।
প্রসঙ্গতঃ সুরুজ ফকিরের ২ টি বাড়ি ১ টি ১ং অষ্টধার ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের এবং আরেকটি বোররচর ইউনিয়নের কাচারি বাজার জাফর মন্ডল পাড়ায়।
গত ২ বাছর আগে সুরুজ মিয়ার মেজো ছেলে রাকিব হাসানের সাথে একই এলাকার তরাব আলীর মেয়ে মোসাঃ খাদিজা আক্তারের সাথে ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিবাহের পর থেকেই সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগে থাকতো, বিশেষ করে ছেলের বোন মজিদা আক্তারের সাথে।
পরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে খাদিজা আক্তারের পরিবারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেন রাকিব হাসান। মেয়ের সুখের জন্য অসহায় তরাব আলী ঋণ করে ৪ লক্ষ টাকা মেয়ে জামাই রাকিব হাসানকে দেন। পরবর্তীতে রাকিব হাসান বিদেশ থেকে ফেরত এসে মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তারের সাথে ঘর সংসার করিতে থাকে, ঘর সংসার করার কিছুদিন পরে পরিবারের কুপরামর্শে আবারো খাদিজা আক্তার কে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেন, বলে তুমি তোমার বাবার বাড়ি থেকে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আসো তা না হলে আমি তোমাকে রাখবো না তোমাকে তালাক দিয়ে দেব।
এই বলে রাকিবের বাবা সুরুজ ফকির বড় ভাই আবুল ফকির ছোট ভাই মাকবুল হোসেন ও তার বোন মজিদা আক্তার গত ২৬/০৯/২০২৪ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তার কে, ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিবি না তোর বাপে দিবে বলে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখম করে অসহায় খাদিজা আক্তার কোনরকম নিজের জীবন নিয়ে ফিরে এসে পরিবারের সহায়তায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নেয়।পরে খাদিজার প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখে পরিবারের লোকজন তাকে তার বাপের বাড়ি নিয়ে আসেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী খাদিজার আক্তার বাদী হয়ে, রাকিব হাসান কে আসামি করে ময়মনসিংহ জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে, এই বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধান করার চেষ্টা করলেও আসামিপক্ষ আর যৌতুক চাইবে না বলে কথা দেয় কিন্তু পরবর্তীতে আবার ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার কে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এই বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো। কিন্তু এখনো অসহায় খাদিজা আক্তার স্বামী সংসার ফিরে পেতে চায়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মানিক মিয়া বলেন আমরা স্থানীয়ভাবে এটা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবও বিষয়টি জানেন কিন্তু ছেলে পক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক ভোরের সময় সহ একাধিক প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।