বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |

মূলপাতা রাজনীতি

চট্টগ্রামে আ.লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু, একাংশের বর্জন


প্রকাশের সময় :১৯ মার্চ, ২০২৩ ৫:০৩ : অপরাহ্ণ

নিউজ ডেক্সঃচট্টগ্রামে ওয়ার্ড পর্যায়ে ফের সম্মেলন শুরু করেছে নগর আওয়ামী লীগ। তবে যথারীতি এই সম্মেলন নিয়ে বিভক্ত নগর কমিটির নেতারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) একপক্ষের বিরোধিতার মধ্যে সম্মেলন হয়েছে নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ডে। সম্মেলনে নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। তবে মাহতাব-নাছিরের বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সম্মেলন বর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বাগমনিরাম ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সম্মেলন প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ করেছেন।

 

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পর্যন্ত গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। সভানেত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করার তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু একমাসের মাথায় নগর আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড পর্যায়ে যে সম্মেলন শুরু করেছে, তাতে সভানেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ মাহতাব-নাছির বিরোধী নেতাদের।

শনিবার সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বাগমিনরাম ওয়ার্ডের সম্মেলন উদ্বোধন করেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমদু, হাসান মাহমুদ হাসনী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন, মহিলা সম্পাদক জোবাইরা নার্গিস খান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু, জাফর আলম চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।

 

সম্মেলন উদ্বোধন শেষে একাংশের বিরোধিতার মধ্যে মাহতাব-নাছির ও তাদের অনুসারী নগর নেতাদের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুল আজিম সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম বাবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে সম্মেলন হয়েছে বাগমনিরাম ওয়ার্ডের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশরকে ছাড়াই। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই নেতার অভিযোগ, সম্মেলনের প্রস্তুতিসহ কোনো পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এমনকি তিনি সাধারণ সম্পাদক হলেও সম্মেলনের বিষয় সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তাকে একবার অবহিতও করেননি।

আবুল বশর বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের সই ছাড়া কাউন্সিলরের তালিকা বৈধ নয়। তারা আমার কোনো সই ও মতামত না নিয়ে সম্মেলন করেছে। এ সম্মেলন অবৈধ। এর আগেও তারা কয়েকবার গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশে স্থগিত করতে বাধ্য হয়। কিন্তু আবার তারা কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে একটি বিতর্কিত সম্মেলন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাগমনিরাম ওয়ার্ডে দলের মধ্যে যে বিভক্তির সূচনা হল, এর দায় তাদের ওপর বর্তাবে।’


আরও খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১