চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। তিনদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ বিরাজ করছে এক অঙ্কের ঘরে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল যা ছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত সন্ধ্যা থেকে সকাল অবধি থাকছে শীতের দাপট। দিনের কিছু সময় দেখা মিলছে সূর্যের। তবে উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বেড়িয়েছে শ্রমজীবী ও দিনমজুররা। কাজের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে কাজ না পেয়ে ফিরে গেছেন। আবার অনেকে কাজ পেয়েও শীতের তীব্রতার কারণে হার মানছেন।
এছাড়া ইজিবাইকচালক, ভ্যানচালক ও রিকশাচালকরা যাত্রীদের অপেক্ষায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা করছেন। তারাও পাননি কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। শীতের দাপটে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে রাত পার করছেন। তাদের কষ্ট সবথেকে বেশি। শীতবস্ত্রের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন তারা। তবুও মেলেনি একটি কম্বল।
শহরের ইজিবাইকচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, জীবিকার সন্ধানে বাড়ির বাইরে আসতে হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বাড়িতেও বসে থাকতে পারছি না। শীতের প্রভাবে আয় কমে গেছে। আর এর প্রভাব পড়ছে সংসারে। রবিউল ইসলাম নামে এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, ভোর থেকে বড়বাজারে এসে দাঁড়িয়ে আছি। ৮টা বেজে গেলেও কাজ পায়নি এখনো। কাজ না পেলে বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। তবে কাজ পেলেও ঠান্ডার কারণে এসব ভারী কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। তবে আগামী দু-একদিন পর তাপমাত্রার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এরপর আবারও হ্রাস পাবে তাপমাত্রা।