সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ৪৯তম বার্ষিকী পালন ও শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মহসিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সদস্য আহসার কবীর শিশির ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমআর তালুকদার বাবু। এর মধ্যে মহসিন রেজার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মহসিন রেজার ছোট ভাই মুঠোফোনে ঢাকায় একটি হাসপাতালে মহসিন রেজার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি আইসিইউতে আছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। অপর দুই জনের মধ্যে আহসার কবীর শিশিরকে ঢাকার কাকরাইলের ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও এমআর তালুকদার বাবুৃ সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে তার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৫ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর সিএনজিতে করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ৪৯তম বার্ষিকী পালন ও শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু বাসভবনে যান সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মহসিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সদস্য আহসান কবীর শিশির ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমআর তালুকদার বাবু। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সেখানে ছাত্র জনতার নানা প্রশ্নের মুখে পরেন এবং সেখানে কেন গিয়েছেন এমন প্রশ্নের যথাযথ জবাব না দেওয়ায় তারা তিনজন বর্বর হামলার শিকার হন। এসময় মহসিন রেজা,আহসান কবীর শিশির ও এমআর তালুকদার বাবু মাথায় গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখনসহ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম ও হাড় ভাঙা জখম প্রাপ্ত হন। পরে এক পর্যায়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত তিনজনকে সেনা সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হলে তাদের শাররীক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসার জন্য সেনা সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়। এদিকে সিরাজদিখান থেকে নিয়ে যাওয়া সিএনজি চালক তাদের তিনজনকে লক্ষ রেখে সেনা সদস্যদের কাছাকাছি গেলেওই সিএনজিতে তাদের উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে সিএনজি চালক তাদের তিনজনকে সিরাজদিখানে পৌছে দেন। এরপর তাদের তিনজনের মধ্য থেকে মহসিন রেজা ও আহসান কবীর শিশিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুনরায় ঢাকায় পাঠানো হয় ও এমআর তালুকদার বাবু স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতার উপর হামলার ঘটনাকে চরম বর্বরতার সাথে তুলনা করেছেন সিরাজিদখান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও হামলায় আহতদের পরিবারের সদস্যরা।