নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টায় তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি দেন।আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জনরোষ তৈরি হয়েছে। পুলিশ দিয়ে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন দমন করা যাবে না। আমরা ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আন্দোলনকারীরা এ সময় পুলিশের জলকামানের গাড়িকে ধাক্কা দিতে থাকে। ফলে গাড়ি শাহবাগ এলাকা থেকে সরাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর আগে, কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার সময় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে শুরু হতে দেরি হয়। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের অবস্থান প্রতিদিনের মতো হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছি। আন্দোলনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে, আদালতের কাছে নয়। আমরা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করব। পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে বলে আশা করি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রসমাজকে জিম্মি ও জনদুর্ভোগ তৈরি করা হলে ছাত্রলীগ রুখে দাঁড়াবে। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত রোববার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। প্রথম দুই দিন রবি ও সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর গতকাল বুধবার আবার সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। তাদের এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে রাজধানী অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সারা দিনের অবরোধে সড়কে যানবাহন আটকে থাকায় দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে।