রবিবার, ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |

মূলপাতা অর্থনীতি

চরাঞ্চলের মরিচ যেন কৃষকের প্রাণ


প্রকাশের সময় :২১ মার্চ, ২০২৩ ১:৪৮ : অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্কঃ কৃষিভান্ডার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে মরিচ চাষে বিপ্লব ঘটেছে। ইতোমধ্যে এখানকার উৎপাদিত শুকনো মরিচ যাচ্ছে দেশর বিভিন্ন জেলায়। এ বছর বাম্পার ফলন আর ভালো দামে এই মরিচ যেন কৃষকের প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ফুলছড়ি হাটে বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে নৌকাযোগে আনা হচ্ছে প্রচুর পরিমান মরিচ। এই হাট এখন শুকনো মরিচের আমদানীতে টক টকে লাল মরিচে দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠেছে। হাইব্রিড জাত ও দেশীয় জাতের মরিচ চাষ করেছেন কৃষকরা।

জানা যায়, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি, টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়িসহ ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বকসীগঞ্জ এর কয়েকটি চর থেকে কৃষক ও পাইকাররা মরিচ বিক্রি করতে আসেন ফুলছড়ি মরিচ হাটে। আর বগুড়া জেলা থেকে মরিচ কিনতে আসেন ব্যাপারীরা। এ হাট বসে সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার। এ দুদিন সকাল সাতটা থেকে বসে হাট। প্রতি হাটে দুই হাজার মণের বেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান হাট ইজারাদার বজলুর রহমান মুক্তা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এ বছর গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ২ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে মোট উৎপাদন হয়েছে ৫ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪০ হেক্টর, সাদুল্লাপুরে ১৮০ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ৭৫ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ১২৫ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জে ১৪৮ হেক্টর, ফুলছড়িতে ৯৯২ হেক্টর ও সাঘাটায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

ফুলছড়ির গলনাচরের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, বিঘা প্রতি কাঁচা মরিচ উৎপাদনের খরচ পড়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৫০ মণের বেশি মরিচ উৎপন্ন হয়। তিনি আরো বলেন, ৫০ মণ কাঁচা মরিচ পাকার পর তা শুকিয়ে ১০ মণ শুকনা মরিচ পাওয়া যায় এবছর একটু দাম চড়া আছে। প্রতিমণ ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মরিচ বিক্রেতা আব্দুর মনসুর জানান, এই হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসেন হাজার খানেক কৃষক ও বগুড়াসহ কয়েক জেলার প্রায় শতাধিক ব্যাপারী। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে মরিচ কিনতে আসা ব্যাপারী ইলুল রহমান বলেন, আমরা প্রতি বছরেই এই হাট থেকে শুকনা মরিচ কিনে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় হাট বাজারের বিক্রি করি। অন্যন্য বছরের থেকে এবছর মরিচের মান ভালো। কিন্তু দাম টা চড়া খ্বুই।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান, এ জেলার সাতটি উপজেলায় যে পরিমাণ মরিচের চাষ হয় তার অর্ধেকই উৎপন্ন হয় ফুলছড়ি উপজেলায়। এখানে দিন দিন মরিচ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। তাদের লাভবান করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।


আরও খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১