আনিছুর রহমান রুবেলঃ স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় আলোচিত ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করেছে হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ।
রবিবার দুপুর সারে ১২ টায় হাসাড়া হাইওয়ে থানার আয়োজনে প্রেসব্রিফিং উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ড.আ.ক.ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া ।
প্রেসব্রিফিং এডিশনাল ডিআইজি ড.আ.ক.ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে এই জন্য পরিবহন মালিক,চালক ও চালকের সহকারীসহ আমাদের পুলিশেরও আরো সচেতন হতে হবে। এতে করে যদি আমাদের পুলিশের কোন সদস্যের অবহেলা থাকে বা তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে চালকরা অবৈধ পথ অবলম্বন করে গাড়ি চালায় এবং তার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এসব দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি,আশা করি পরিবহন মালিক,চালকসস সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হব।
এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মালিক ও চালককে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি
আব্দুল কাদের জিলানী , সার্জেন জুয়েল হোসেন, হাসাড়া হাইওয়ে থানার এসআই রহমান মিয়া সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গেলো শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসয়ের দক্ষিন কেরানীগঞ্জ ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের চারজনসহ দুটি গাড়ির ছয় আরোহী নিহত ও চারজন আহত হন। যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ নূরু উদ্দিন ‘কৌশলে’ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে চালক মোহাম্মদ নূরু উদ্দিনকে র্যাব-১০ এর একটি টিম তাকে আটক করে।
শনিবার দিবাগত রাতে মাদারীপুরের শিবচর থেকে বেপারী পরিবহনের মালিক ডাব্লিউ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করেছে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২) এবং মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।