সিরাজদিখান( মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ফেগুনাসার ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরে প্রতি বছরের ন্যায় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটেছে।
শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, এরই ধারাবাহিকতাই গত সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মের নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধ ভক্তবৃন্দের মিলন সমাগম ঘটে ।
এবং সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত
আগত ভক্তবৃন্দদের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে রান্না করা
প্রসাদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হিন্দু ধর্মালম্বী কয়েজন ভক্ত জানান এই মন্দিরটি প্রায় সাড়ে ৮ শত বছরের পুরানো এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তর মন্দিরের মধ্যে একটি পুরানো শিব মন্দির।
এই মন্দিরে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও প্রতিমাসের শেষ সোমবার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে এখানে আমরা আসিপূজা আর্যনা করার জন্য।
বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে অন্যান্য এলাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে আমরা শুনতে পাই,
কিন্তু এই মুন্সীগঞ্জ জেলার উপজেলায় আমাদের কোন সমস্যা হয়নি,আমরা হিন্দু ধর্মালম্বীরা সম্মিলিতভাবে অর্চনা করে যাচ্ছি কোনো সমস্যা এখন পর্যন্ত কোন অপরিচিতকর ঘটনা বা কোন সমস্যা হয়নি আমরা হিন্দু মুসলিম একসাথে মিলে চলছি।
ভারত থেকে আগত এক সাধু জানান আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছি
এরমধ্যে সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফেগুনাসার গ্রামে
এই ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরে এসেছি আজকে তিন দিন যাবত
এখানকার মানুষদের সমাগম ও আত্মীয়তা দেখে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল রায় জানান আমরা প্রতি মাসের শেষ সোমবারে মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুরা সবাই মিলে মিসে আয়োজনটি করে থাকি আজও এই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে আগত ভক্তবৃন্দ সবার জন্য এই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিকাল পর্যন্ত রান্না করা প্রসাদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের এই আয়োজন এর কোন সমস্যা হয়নি, এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পাহারা দিচ্ছেন, তাদের এই কর্মকান্ড দেখে আমরা আরো উৎসাহিত হচ্ছি।
মালখানা ঘরে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে একটি গোষ্ঠী দেশের মধ্যে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
এই এলাকার মধ্যে যাতে এমন ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা না হয় যাতে আমাদের এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এজন্য আমার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এই মন্দিরে শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।