নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুমন সবুজ (৩০) হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাছুন্দি ও মাটিখোলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মো. নাজমুল হক।
গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাছুন্দি গ্রামের মো. সামু মোল্লার ছেলে মো. হালিম মোল্লা (৩০) ও মাটিখোলা গ্রামের মো. মহন মোল্লার ছেলে মো. বক্কার মোল্লা (৩৫)।
মো. নাজমুল হক জানান, গত ২৩ এপ্রিল রাত সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল সবুজের বাবা শামসুল আলম শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুল ইসলাম যুবরাজ ও গোলাম মোস্তফা নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে জানতে পারে হালিম মোল্লা ও বক্কার মোল্লা ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। রোববার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজ নিজ গ্রাম থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হালিম মোল্লার বিরুদ্ধে এর আগের একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। অস্ত্র মামলায় তিনি ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তিনি চার বছর এ মামলায় কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে এসে সবুজ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন। তাদের রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২ জনসহ এ মামলায় মোট ৪ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের শামসুল আলম শেখের ছেলে শেখ সুমন সবুজকে তার ঘরের মধ্যে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ওই দিনই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ মারা যান। এ সময় নিহত সবুজের বন্ধু সজীব শেখ গুলিবিদ্ধ হন, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের বাবা সামশুল আলম বাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।