নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বস্ত বন্ধু অ্যাখ্যা দিয়ে সফররত ইরাকি প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেছেন, কোনো মার্কিন সেনাকে নিজেদের ভূখণ্ডে থাকতে দেওয়া ইরাকের উচিত হবে না। শনিবার তিনি একথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরাকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা ইরান দীর্ঘদিন ধরেই তার সীমান্ত ও উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতির বিরোধিতা করে আসছে, পশ্চিমা সামরিক হস্তক্ষেপকে অঞ্চলটির নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণও বলছে তারা। আমেরিকানরা ইরাকের বন্ধু নয়, আমেরিকানরা কারোরই বন্ধু নয়, তারা এমনকী তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও অনুগত নয়, খামেনি এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর বিডিনিউজের।
সমপ্রতি অনলাইনে ফাঁস হওয়া কিছু মার্কিন গোপনীয় নথিতে যুক্তরাষ্ট্র যে তাদের ইউরোপীয় মিত্র, এমনকী ইউক্রেনের ওপরও নজরদারি চালিয়েছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। ফাঁসের এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। ওই নজরদারির দিকে ইঙ্গিত করেই খামেনি এমনটা বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইরাকে এমনকী একজন আমেরিকানের উপস্থিতিও অনেক বেশি, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরান যাওয়া রশিদকে এমনটাই বলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ইরাকে এখন প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে, যারা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থানীয় বাহিনীগুলোকে পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে। আইএস ২০১৪ সালে ইরাকের বিশাল অংশের দখল নিয়ে নিলেও এখন তাদের উপস্থিতি নগণ্য।
খামেনির সঙ্গে আলাপচারিতায় রশিদ দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের বিষয়েই জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ইরাকের মূল প্রচেষ্টাই হচ্ছে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং দুই দেশের মধ্যে এখনও যেসব ইস্যু বিদ্যমান, তার সমাধান করা, বলেছেন রশিদ।