নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজদিখান রশুনিয়া ইউনিয়নের চোর মর্দন গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের মেয়ে বন্যা দাসের মিথ্যা ও বানোয়াট ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি চাচ্ছে খুলনা জেলার দাকোপ থানার দেবাশীষ বিশ্বাস নামের এক ভুক্তভোগী। আজ বুধবার সাংবাদিকদের কাছে ওই ভুক্তভোগী বলেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের চোর মর্দন গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের মেয়ে বন্যা দাস সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ধর্ষণ মামলা দিয়ে গত ৫ বছর ধরে আমাকে হয়রানি করছে।
বন্যা দাস ২ বছর হলো বিয়ে করেছ, তাদের একটা বাচ্চাও আছে। তারপরও আমাকে হয়রানি চালিয়েই যাচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি মামলা তুলে ফেলার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা বন্যা দাসের পরিবার ও তাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই কিন্তু মামলা প্রত্যাহার না করে উল্টো ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মামলা প্রত্যাহার করবে না বলে জানায়। তিনি বলেন, বন্যা দাসের দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে বলে জানতে পেরেছি, তাদের একটা ছেলে সন্তানও আছে। তারপরও টাকার আশায় মামলাটি ৫ বছর ধরে চলমান রেখেছে।
মিথ্যা মামলার শিকার দেবাশীষ বলেন, এলাকাবাসী সূত্রে জানতে পেরেছি- আওয়ামী লীগ আমলে স্বপন দাস এবং তার ছেলে সজল দাস মাদক ব্যবসা করতেন এবং মেয়েকে দিয়ে ছেলেদের ফাঁদে ফেলিয়ে বিভিন্নভাবে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। সিরাজদিখান থানায় স্বপন দাস ও তার ছেলের নামে মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে। তারা মাদক মামলায় জেলও খেটেছেন। তারা শুধু মাদক ব্যবসায়ীই ছিলেন না, তারা আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষ জনকে নানাভাবে হয়রানি করেছে এবং আপন ছোট ভাইয়ের জমিও জবরদখল করে নিয়েছে এই স্বপন দাস। এই ভুক্তভোগী দেবাশীষ বিশ্বাস আরো বলেন, আমি বন্যা দাস ও তার পরিবারের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার মানহানিও হচ্ছে। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।