অনলাইন ডেস্ক: হিসেবনিকেশটা আগের ম্যাচেই করা হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে নিজের ছায়ায় থাকা মেসির সামনে এই ম্যাচেই ছিল নিজেকে জানান দেয়ার সুযোগ। সেটা মোক্ষমভাবে কাজে লাগালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসি জাদুতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। সেই সঙ্গে জিতেছে ‘সাপোর্টারস শিল্ড’। যথারীতি এই শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেসিরই, করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি করেছেন লুইস সুয়ারেজ। মায়ামি গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারকেও ভুলে গেলে চলবে না। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি ঠেকিয়ে লিড ধরে রাখেন তিনি।
ম্যাচের ৮ম মিনিটেই মায়ামির জালে বল পাঠায় কলম্বাস ক্রু। তবে অফসাইডের জন্য গোল হয়নি। ২৪তম মিনিটে একইরকম অভিজ্ঞতা হয় মায়ামির। এবার তারা বল জালে পাঠালেও গোল হয়নি ফাউলের জন্য। তবে ৪৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। নিজেদের অর্ধ থেকে জর্দি আলবার বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে প্রতিপক্ষ ডি-বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক পেট্রিক স্কাল্টের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কলম্বাসের বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। সামনের মানব দেয়ালে পাশ দিয়ে নিখুঁত বাঁকানো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন মেসি। গোলকিপারের তাকিয়ে দেখা ছাড়া করার বেশি কিছু ছিল না। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি গোল শোধ করে দেয় কলম্বাস। মোহামেদ ফার্সির পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন দিয়াগো রসি। তবে এর মিনিট দুয়েক পরই গোলরক্ষকের ভুলে ফের ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেজ। উঁচু হয়ে আসা বল ধরতে গিয়ে হাত থেকে ফসকে যায় পেট্রিকের। সামনেই থাকা সুয়ারেজ হেড দিয়ে জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি।৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আবার কমায় স্বাগতিকদের। তবে ৬৩তম মিনিটে ডিফেন্ডার রুডি কামাচো লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ায় বড় ধাক্কা খেতে হয় তাদের। তারপরও ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল তাদের। ৮৪তম মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু এবার আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি হার্নান্দেজ। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে তার শট রুখে দেন মায়ামি গোলরক্ষক ক্যালেন্ডার। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় পায় মায়ামি। মেজর লিগ সকারে দুটি মূল ট্রফির একটি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। আরেকটি হলো এমএলএস কাপ। নিয়মিত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচজুড়ে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পায় এই সাপোর্টার্স শিল্ড। ১৬টি ভিন্ন দল এখনও পর্যন্ত জিতেছে এই ট্রফি।