নরসিংদি প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৩ জনের উপর হামলা।
গত ২৮ মে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর – চন্ডিতলা সড়কের পাশে উরুলিয়া বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠে বড়মির্জাপুর বনাম উরুলিয়া গ্রামের প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।খেলা চলাকালীন সময়ে দুই পক্ষের দর্শকদের মধ্যে বাগবিতন্ডের সৃষ্টি হয়।উরুলিয়া গ্রামের অধিনায়ক জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মীমাংসা হয়,কিন্তু বড়মির্জাপুর গ্রামের কিছু উশৃঙ্খল লোকজন মারামারি করার উউদ্দেশ্যে সন্ধ্যার পর উরুলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করলে মাইজদিয়া চৌরাস্তা মোড় স্থানীয় লোকজনের হস্থক্ষেপে তাদেরকে ঘটনাস্থল হতে ফেরত পাঠানো হয়।
এর পর গত ১১ জুন রবিবার সন্ধ্যার পর উরুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর, শাহীন এবং তানজিল মোটরসাইকেল যোগে চালাকচর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চালাকচর গার্লস স্কুল মোড়ে পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বড়মির্জাপুর গ্রামের আ: হক মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল,আ: বাতেন এর পুত্র ইব্রাহিম, আইন উদ্দিনের পুত্র প্রবাসী মোশারফ হোসেন,জামাল উদ্দিন এবং আবু বক্করসহ ১৫- ২০ জন মিলে তাদের মেটরসাইকেল গতিরোধ করে।এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র, লাঠি এবং হকিস্টিক দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।তাদের মধ্যে আহত অবস্থায় তানজিল দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে।বাকী ২ জনকে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।সবার হাতে অস্ত্র থাকায় বাজারের আশ পাশের মানুষ ভয়ে এগিয়ে আসেনি ।এসয়ম বাজারের আশে পাশের পরিবেশ থমথম অবস্থা বিরাজ করছিল। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্বার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত ২ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাহাঙ্গীরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।বর্তমানে জাহাঙ্গীর ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ এঘটনায় আহত জাহাঙ্গীরের ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এলাকাবাসী বলেন,যারা পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।যাতে আর কেউ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।আহত জাহাঙ্গীরের ভাই রিপন জানান,আহত হওয়ার তিন দিন পরও জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
উল্লেখ্য জাহাঙ্গীর এশিয়ান ইউনিভারসিটির বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র।
এই বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই বিষয়ে আমি শুনেছি, জাহাঙ্গীর এর বড় ভাই থানায় মামলা করেছে, আগে রোগীর চিকিৎসা হোক, তার পর বিষয়টা আরো ভালোভাবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।