অনলাইন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের ত্রাণ বহন করা লরির একটি বহরে সহিংস লুট হয়েছে। শনিবার এ লুটের ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এমনটি বলছে। খবর বিবিসির। দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালোম ক্রসিং পার হওয়ার পর ৯৭টি লরি হারিয়ে যায়। চালকদের বন্দুকের মুখে লরি থেকে ত্রাণসামগ্রী নামাতে বাধ্য করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মুখোশ পরিহিত লোকেরা গ্রেনেড ছুড়ে বহরে হামলা চালায়। ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ার অর্থ হলো সেখানে কার্যক্রম চালানোর অসম্ভব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ না করা হয় তবে, মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ২০ লাখ লোকের তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেবে, এমনটি বলছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘ সমর্থিত এক মূল্যায়নে সতর্ক করে বলা হয়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এবং শিগগিরই তা আসতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। উত্তর গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর গত মাসে জাতিসংঘের খুব বেশি লরি প্রবেশ করতে পারেনি।
শনিবারের লুটের ঘটনার খবর সর্বপ্রথম প্রকাশ করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ইউএনআরডব্লিউএর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ত্রাণবাহী লরির বহরটিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ স্বল্প সময়ের নোটিশে কেরেম শালোম থেকে এক অপরিচিত সড়ক দিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। গাজার হামাস-শাসিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা লুটের সঙ্গে যুক্ত ওই দুষ্কৃতি দলের ২০ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে।