অনলাইন ডেস্ক: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) বেকা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেকের আশেপাশে ৪০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্ধ্যায় বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে আরো হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বের বিভিন্ন অংশে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে। এরপর লেবাননে অনুপ্রবেশ করে অভিযান শুরু করে। গতকাল বুধবার রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে বারবার আঘাত হানে ইসরায়েল। হামলার আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দাদের বেশ কয়েকটি স্থান খালি করার নির্দেশ দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় এবং আরেকটি আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বোমা হামলা চালায় তারা। তবে লেবাননের আল জাদেদ টিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অন্তত চারটি হামলা হয়েছে।
হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি। হিজবুল্লাহ মহাসচিব নাইম কাসেম বুধবার জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে রাজনৈতিক পদক্ষেপ শত্রুতার অবসান ঘটাবে। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল তাদের হামলা বন্ধ করলে পরোক্ষ আলোচনার রাস্তা হতে পারে। যখন শত্রুরা আগ্রাসন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আলোচনার জন্য একটি পথ থাকে। কাসেম লেবাননের রাষ্ট্র এবং স্পিকার (সংসদ নাবিহ) বেরির মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনার কথা জানান। এদিকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই বন্ধ করার জন্য মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত মঙ্গলবার মার্কিন নির্বাচনের আগে গত সপ্তাহে ব্যর্থ তা হয়। বুধবার হিজবুল্লাহ জানায়, তারা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমও জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কাছে একটি রকেট হামলা হয়েছে। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি ভূপাতিত করা হয়েছে।