সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |

মূলপাতা জাতীয়

বন্যা: ফেনীতে পানিবন্দি ও বিদ্যুৎহীন ৩ লাখ মানুষ


প্রকাশের সময় :২২ আগস্ট, ২০২৪ ১১:১৭ : পূর্বাহ্ণ

ফেনী  প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে ডুবছে জনপদ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানিতে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সোমবার রাত থেকে জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে এ তিন উপজেলাসহ সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করা দেওয়া হয়। পরশুরামের সলিয়া এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে কেউ বুঝতে পারেনি। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বেশি ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

ফুলগাজীর কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘরের ছাদও পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষকে উদ্ধারে দুয়েকটি নৌকা কাজ করলেও পানির স্রোতের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। দুদিন ধরে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও কষ্ট করতে হচ্ছে।ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি ভাঙা অংশ দিয়ে হু-হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্ট গার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। এখনও তিন উপজেলার তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।


আরও খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১