মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারঃ সিরাজদিখান প্রতিনিধি
আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মঈনুল হাসান নাহিদসহ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো ৬ জন। চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী একে অপরের সাথে ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মঈনুল হাসান নাহিদসহ আরো ৫ প্রার্থী। তারা রাত দিন এক করে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী থাকলেও প্রচার প্রচারণার দিক দিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মঈনুল হাসান নাহিদ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মঈনুল হাসান নাহিদ, আবু বকর সিদ্দিক ও মোঃ আওলাদ হোসেন মৃধা এ তিনজন প্রার্থীকেই হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নির্বাচনে এ ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট যুদ্ধে মঈনুল হাসান নাহিদ, আবু বকর সিদ্দিক ও মোঃ আওলাদ হোসেন মৃধার মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ভোটাররা। প্রার্থীদের মধ্যে ভোট যুদ্ধে লড়াই হোক বা না হোক তবে সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান উপজেলার সাধারণ মানুষ। এদিকে জনমত বিশ্লেষণে ভোটের মাঠে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মঈনুল হাসান নাহিদ । তবে নির্বাচনী মাঠে শেষ অবদি ভোট ধরে রাখতে পারলে মঈনুল হাসান নাহিদের জয় অনেকাংশেই সহজ বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে মঈনুল হাসান নাহিদের প্রচারণার ব্যস্ততা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মঈনুল হাসান নাহিদ নানা ভাবে তার কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা, সততার জণসেবামূল বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন। ভোটারদের তার বাগে আনতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার বিচার বিশ্লেষণ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মঈনুল হাসান নাহিদকেই বেছে নেবে উপজেলার সাধারণ মানুষ। এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করে মঈনুল হাসান নাহিদ বলেন, আমি যদি সিরাজদিখান উপজেলার আপামর জনসাধারণের ভোটে চেয়ারম্যান নর্বাচিত হই তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সিরাজদিখান উপজেলার মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। তারা ২৪ ঘন্টা তাদের সুখ দুঃখ ও আপদে বিপদে আমাকে কাছে পাবে। আমার বয়স অল্প, তাই আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে উপজেলার মানুষ ও উপজেলার কাঠামোগত সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার স্বক্ষমতা দুটোই রয়েছে। আগামী ২৯ মে জনসাধারণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সিরাজদিখানকে একটি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ও দুর্ণীতিমুক্ত স্মার্ট সিরাজদিখান উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি আশা রাখি জনসাধারণ যোগ্য মানুষকে বেছে নিতে ভুল করবে না ইনশাআল্লাহ।