সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বসত বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রান্ত শেখ নামে এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ এপ্রিল সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বাসাইল (দুদুন পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত যুবকের মা শাহীদা বেগম (৪০) বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত শামীমসহ মামলার অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। দায়েরকৃত মামলা নং-২৭।
অভিযুক্ত বাসাইল (দুদুন পাড়া) গ্রামের মোশারফের বখাটে ছেলে শামীম (২৬) ও একই গ্রামের আওলাদের ছেলে পিয়াস (২১), মৃত মতি ফকিরের দুই ছেলে আওলাদ (৫০) ও লিটন (৪৬), মোশারফের স্ত্রী শারমিন (৩৭), আওলাদের স্ত্রী পারভীন (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাসাইল (দুদুন পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নাঈম শেখ ও তার ভাইয়ের সাথে প্রতিবেশী মোশারফ গংদের বসত বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
উক্ত বিরোধের জেরে গত ২২শে এপ্রিল সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে শামীম, পিয়াস,আওলাদ, লিটন, শারমিন ও পারভীন নাঈম শেখের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী শাহীদা বেগমকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। শাহীদার ছেলে প্রান্ত শেখ তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অভিযুক্ত শামীমের হাতে থাকা দেশীয় চাপাতি দিয়ে প্রান্ত শেখের মাথা লক্ষ করে কোপ দিলে উক্ত কোপ প্রান্ত শেখের কপালের মাঝ বরাবর লেগে কাটা রক্তাক্ত জখমসহ মাথার খুলির হার ভেঙ্গে যায়।
প্রান্তর ডাক চিৎকার শুনে ছোট ভাই তুহিন, মানিক ও বোন নাদিয়া আক্তার এগিয়ে গেলে তারা তাদেরকেও লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রান্ত শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে শারীরিক জখম গুরুত্বর হওয়ায় হাসপাতালের ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে প্রান্ত শেখ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত প্রান্ত শেখের মা মামলার বাদীনি ভুক্তভোগী শাহীদা বেগম বলেন, তাদের সাথে আমাদের বাড়ীর সীমানা নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিলো।
তারা আমাদের সীমানার ভিতরের জায়গা তাদের বলে দাবী করে। বাড়ীর সীমানা নিয়ে ওইদিন সকালে বাড়ীতে ঢুকে আমাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করলে আমার ছেলে প্রান্ত তাদের গালাগালি করতে নিষেধ করে। এরপর শামীম আমার ছেলের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করে। আমার ছেলেটা বেচে আছে এটাই শুকরিয়া। থানায় মামলা করেছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই। এ ব্যপারে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মুঠোফোনে না পেয়ে বসত বাড়ীতে গিয়েও তাদের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুল হক জানান, এই মুহুর্তে এই বিষয়টি ঠিক আমার মনে নেই। একটু বাইরে আছি।