সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনীয়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি মোড় সংলগ্ন,সন্তোষ পাড়া ৭নং ওয়ার্ডের, মোহাম্মদ নাসির দেওয়ান পিতা:মোঃ সিদ্দিকুল্লাহ দেওয়ান,রাস্তা আটকিয়ে ঘর উঠিয়ে এবং গৌরঙ্গ ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ পিতা:দিনেশ ঘোষ এর বিরুদ্ধে সীমানা দখল করে বাড়ির রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় গৌরাঙ্গ ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে,রাজিব সরকারের বাড়ির সিমানা দখল করে ঘর উঠিয়েছেন। যার ফলে, ৭ নং ওয়ার্ডের একই মহল্লার প্রায় ৩৫-৪০ টি পরিবারের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে, সরোজমিনে দেখা যায় রাজিব সরকারের সীমানার প্রায় ৩ ফিট জায়গা দখল করে রেখেছেন গৌরাঙ্গ ঘোষ ও কৃষ্ণ ঘোষ দুই ভাই মিলে,
যার ফলে বাড়ির রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে, ভুক্তভোগী ডক্টর সমীর ঘোষ, মোহাম্মদ রাজিব সরকার, জ্ঞানদীপ ঘোষ,মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন,মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ, একাধিক পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, গৌরাঙ্গ ঘোষ কৃষ্ণা ঘোষ সীমানা দখল করে ঘর উঠানো এবং মোঃ নাসির দেওয়ান এর রাস্তার উপরে একটি ঝরাজীর্ণ ঘরের কারণে ৩৫ থেকে ৪০ টি পরিবারের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
কেউ মারা গেলে খাটিয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না, গত এক বছরের মধ্যে শাহ আলম সরকার, নুরুল হক বেপারী ও হাজী মোহাম্মদ সিদ্দিক বেপারী মারা গিয়েছেন, তাদের উভয়ের লাশ টিনের সাহায্যে পেঁচিয়ে বাড়ি থেকে বের করতে হয়েছে।
একটি মানুষ মারা গেলে বা কেউ অসুস্থ হলে হসপিটালে নেওয়ার বা মৃত ব্যক্তিটাকে খাটিয়ে দিয়ে বের করার কোন সুযোগ নেই। এই বিষয়ে নাসির দেওয়ান, গৌরাঙ্গ ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ কে একাধিক বার জানানো হলেও তারা ঘর সরিয়ে নিবে বলে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা ঘর সরিয়ে নেয় নাই।
নানারকম তালবাহানা করে তারা রাস্তাটি চলাচলের অস্বাভাবিক করে রেখেছে, এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার জয়ন্ত ঘোষ রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব এডভোকেট আবু সাঈদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদেরকে একাধিক বার অবগত করেছেন, এবং এলাকার সকল গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে তারা বলেছে যে তারা ঘর সরিয়ে নেবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা ঘর সরিয়ে নেয় নি।
এ বিষয়ে রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,, এডভোকেট আবু সাইদ বলেন, আমরা একাধিকবার গৌরাঙ্গ ঘোষ,কৃষ্ণা ঘোষ ও নাসির দেওয়ানকে বলেছি,তারা বলেছে ঘর সরিয়ে নেবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরিয়ে নেয়নি, আমরা চাচ্ছি বিষয়টা সামাজিকভাবে সমাধা করার জন্য।
তাই এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং ৩৫ থেকে ৪০ টি পরিবারের কথা চিন্তা করে চলাচলের রাস্তাটি যেন স্বাভাবিক করে দেয়া হয় এবং রাস্তা আটকে যে ঘরগুলো উঠানো হয়েছে সগুলো যেন উঠিয়ে নেয়া হয়, এই দাবি জানিয়েছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি সদস্যদের কাছে।