রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |

মূলপাতা মুক্তমত

সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মঈনুল হাসান নাহিদ একজন শিক্ষকের সন্তান।


প্রকাশের সময় :১৬ মে, ২০২৪ ১২:৪৯ : পূর্বাহ্ণ

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ

নীতি ও আদর্শবান মানুষের কথা বলতে গেলে সমাজের শিক্ষকদের তালিকা থাকবে সবার উপরে। শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে আদর্শবান মানুষ তৈরি হয়। শিক্ষকরা যেমনি তাদের ছাত্রদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেন তেমনি তাদের সন্তানদেরও নীতি নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলেন। আজকাল অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলেও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারেন এমন অভিভাবকের সংখ্যা খুব একটা বেশী হবে না হলেও প্রয়াত শিক্ষক মো. হেদায়েত উল্লাহ তার তিন সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে রেখে গেছেন। তার রেখে যাওয়া তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মঈনুল হাসান নাহিদ আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। মঈনুল হাসান নাহিদ নির্বাচনি বিভিন্ন সভা সমাবেশে তার পিতাকে স্বরণ করে পিতার দেওয়া নীতি নৈতিকতার শিক্ষা আজও বুকে ধারণ করে চলেন বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে চাচা ডা. মো. আইয়ুব আলীর সাথে শিক্ষকতার জন্য সিরাজদিখানে পা রাখেন মো. হেদায়েত উল্লাহ।এরপর ২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে নিয়োগ পাওয়া উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বরবর্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকুরী শুরু করেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করে অবসরে যান। এর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি বরবর্তা গ্রামের হাজী শেখ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ওরশে বড় ছেলে মঈনুল হাসান নাহিদ, মেঝো ছেলে কামরুল হাসান নাফিজ ও ছোট ছেলে ফকরুল হাসান (নাদিম) জন্মলাভ করেন। তার তিন সন্তান কেয়াইনের বরবর্তা গ্রামে বেড়ে উঠার পাশাপাশি বরবর্তা গ্রামে বসবাস করে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন। বড় ছেলে মাইনুল হাসান নাহিদ রসায়ন বিভাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। মেঝো ছেলে কামরুল হাসান নাফিজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গনিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি কেয়াইন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন। ছোট ছেলে ফকরুল হাসান নাদিম কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ডিপার্টমেন্টে ৩য় এবং মাস্টার্স ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স ও মাস্টার্স সস্পন্ন করেন। উল্লেখ্য,শিক্ষক মো. হেদায়েত উল্লাহ চাকুরী সূত্রে সিরাজদিখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করলেও বৈবাহিক সূত্রে তিনি বসবাসকালীন সময়ে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ভোটার হয়েছিলেন।২০১২ সালের ২৭ অক্টোবর পরিবার পরিজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে শিক্ষক মো. হেদায়েত উল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন।তার মৃত্যুর এতো বছর পরও তার রেখে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে শ্রদ্ধার স্বাথে স্বরণ করেন।


আরও খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১