সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |

আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৩১ জনের নামে মামলা


প্রকাশের সময় :৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৭ : অপরাহ্ণ

নিজস্ব  প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম আদালত থেকে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নেওয়ার সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আইনজীবী আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। নিহত আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ তারেক আজিজ। তিনি বলেন, মামলাগুলো তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনা যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করে আলিফ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবারের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছিল।ওই তিন মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩৮ জনের মধ্যে আইনজীবী হত্যায় নয়জন জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হত্যা মামলা হলে তাদের ওই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে খুন হয় আইনজীবী আলিফ। সড়কে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে বেশ কয়েকজন এলোপাথাড়ি মারধর করছে। ভিডিওতে হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোদের মধ্যে যাদের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন উপকমিশনার রইছ উদ্দিন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রুমিত দাশ, গগন দাশ, সুমিত দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, মনু মেথর, আমান দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি। পাশাপাশি তারা হত্যাকাণ্ডেরও জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


আরও খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১